কাহিনীটা আমাদের- সেকালের গাঁয়ে,
কবিতাঃ কাহিনীটা আমাদের "
আমাদের একখানা
ঘর ছিলো মোটে,
যেই ঘরে ছেলে-মেয়ে
বড় হয়ে ওঠে।
গাদাগাদি করে বাস
বাপ- মা ও ছাঁয়ে,
মাটিতে বিছানা পেতে
লেগে গায়ে গায়ে।
ফি বছর তুফানে
ভেঙ্গে যেতো ঘর,
আবার ছাইতে হতো
দিয়ে শন-খড়।
উগুরের তলে ছিলো
ছাগলের বাস,
মোরগ ও হাঁস নিয়ে
ছিলো বসবাস।
একগাদা ছেলে মেয়ে
না ছিলো খাবার,
নুনে ফেনে পেটে জাগ
দিনটা কাবার।
একখানা কাঁথা মুড়ি
দিয়ে রাত পার,
শীতে কেহ দিলে টান
টান পড়ে আ'র।
গোস্ খাওয়া হতো সেই-
সনে দুই বার,
ঈদে এলে দিয়ে গেলে
আত্মীয়ে তাঁর।
কুটুম এলেই ঘরে
মোরগের খোঁজ,
তা-না হলে নুনে ঝালে
হতো ভুরি ভোজ।
গোস্তের সাথে আলু-
ঝোলে হতো মিল,
উরকীতে দিয়ে মা"
বলে ছেৎ গিল।
নগন্য বড়লোক
ছিলো ঐ কালে,
জমি ছিলো বিঘা বিঘা
গোলা ভরা চালে।
একশো টাকার নোট
ছিলো যাঁর ঘরে,
সেই কালে বড়লোকে
তাঁর নাম পড়ে।
অভাব ছিলো তবে
স্বভাবটা খাঁটি,
ছলটল বুঝতো না
সে গাঁয়ের মাটি।
আদব লেহাজে ছিলো
সচেতন -পাকা,
একালে কি দেখা যায়-
বলো দেখি কাকা?
অভাবে কেটেছে দিন
সেকালে সবার,
ছিলোনা যে হিংসা
ভাবো একবার!
No comments